বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় : প্রধানমন্ত্রী তুরস্কে চিকিৎসা নিচ্ছেন সহস্রাধিক হামাস সেনা: এরদোয়ান র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা জানালেন ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ডোনাল্ড লু চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন নির্বাচন দাবি করে নিপুণের রিট ‌বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: সালমান এফ রহমান পশ্চিম কানাডার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দ্রুত ছড়াচ্ছে দাবানল হোটেল-রেস্তোরাঁয় ‘বিশেষ ডিসকাউন্ট অফার’ বিষয়ে যা জানা যাচ্ছে ইসরাইলকে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিতে চাচ্ছেন বাইডেন ইসরাইলি বাহিনীর ওপর সাহসী হামলা চালাচ্ছে হামাস
কুড়িগ্রামে নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কুড়িগ্রামে নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

স্বদেশ ডেস্ক:

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাটেশ্বরীর সোনাহাট রেলসেতু পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এছাড়াও জেলার ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

পাহাড়ি ঢল আর টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়ায় নদী অববাহিকার চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বাড়ায় গ্রামীণ সড়ক এবং নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার মানুষ নৌকা-ভেলা করে চলাচল করছে। এছাড়াও পানিতে তলিয়ে গেছে সবজি, আমনের চারাসহ পাট।

বুধবার দুপুরে নাগেশ্বরী উপজেলা বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের তেলিয়ানী পাড়ায় দুধকুমার নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে তীব্র স্রোতে পানি লোকালয়ে ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল।

বামনডাঙ্গা ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবেদ আলী জানান, মঙ্গলবার বিকাল থেকে তেলিয়ানীতে তার বাড়ির পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দিয়ে দুধকুমারের পানি লোকালয়ে ঢুকতে থাকে। ক্রমে মাটি ক্ষয়ে স্রোতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। বড় বড় গর্ত হয়ে তলিয়ে যেতে থাকে বাঁধে থাকা জিও ব্যাগ। এক সময় স্রোতের তীব্রতায় ভেঙে যায় প্রায় ২৫০ মিটার বাঁধ।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের উত্তর নওয়াবশ গ্রামের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম বলেন, প্রায় তিন দিন হলো বাড়িতে পানি উঠেছে। বুধবার বাধ্য হয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছি।

একই এলাকার সবজি চাষি বিপ্লব বলেন, প্রায় এক বিঘা জমিতে পটল আবাদ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। কিন্তু দুই-তিন দিনের মধ্যে পানি এসে সবজি খেত তলিয়ে গেছে। পটলও নষ্ট হয়ে গেছে। যে কয়েকটা ভালো আছে রান্নার জন্য বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২৩ জুন প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদী বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা মোকাবিলার সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলায় ৫৪১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা ও শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে। যেখানে প্রয়োজন হবে তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ করা হবে।

সূত্র : ইউএনবি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877